19 January 2015

ফেয়ারনেস নাইট ক্রিম নিজেই তৈরি করুন

ত্বকের প্রতি প্রেম কার না আছে। এর পেছনে কাড়ি কাড়ি টাকা ঢালতেও কার্পণ্য করেন না অনেকে। দেশের বাইরে থেকে কেউ কেউ আনিয়ে নেন বিখ্যাত ব্রান্ডের ক্রিম। যারা সেটা করতে পারেন না তারা দেশের বাজারেই বিকল্প খুঁজে বেড়ান। কিন্তু দোকানের পর দোকান ঘুরে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না কোন ক্রিমটি ব্যবহার করবেন। বাজারে নানা ব্র্যান্ডের ও বাজেটের ময়েশ্চারাইজার ক্রিম, ভ্যানিসিং ক্রিম, ফেয়ারনেস ক্রিম রয়েছে। দিনে ও রাতে ব্যবহারের জন্য রয়েছে আলাদা ক্রিম। রাতের জন্য তৈরি ক্রীমগুলোতে আলাদা কিছু উপাদান থাকে, যা সারা রাতে ত্বকের পুষ্টি যোগায়। তাই এগুলোর দামও একটু বেশি পড়ে। তারপরও সবার ত্বকে আবার সব ক্রিম খাপ খায় না। অনেকের ত্বক স্পর্শকাতর হওয়াতে বাজারে প্রচলিত কেমিকেল নির্ভর প্রসাধনী ত্বকে অ্যালার্জিসহ নানা সমস্যা সৃষ্টি করে। তাই দরকার কী অযথা টাকার বড় বড় নোট খরচ করে ঝুঁকি নেওয়া। ঘরে বসে নিজেই তৈরি করে ফেলুন প্রাকৃতিক ফেয়ারনেস নাইট ক্রিম। এতে টাকাও বাঁচবে, ত্বকও পরিপূর্ণ যত্ন পাবে। আসুন পদ্ধতিটি জেনে নিই।

উপকরণ:
-কাঠবাদাম ১০ টি
-দুধ বা গোলাপ জল
-টকদই ১ কাপ
-১ টেবিল চামচ মধু
-১ চা চামচ কমলার রস
-৪-৫ দানা জাফরান
-১ টা ভিটামিন সি ট্যাবলেট
-১ টা ভিটামিন ই ক্যাপসুল
- পাত্র
পদ্ধতি:
-কাঠবাদাম গুলোকে সারা রাত দুধ বা গোলাপ জলে ভিজিয়ে রাখুন।
-পরের দিন সকালে বাদামগুলোকে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড বা শিল পাটায় বেটে নিন, খুব মিহি পেস্ট হতে হবে।
-বাদাম হয়ে গেলে জাফরানেরও পেস্ট তৈরি করে নিন।
-এবার পরিষ্কার একটি বাটিতে বাকি সব উপকরণ যেমন টকদই, মধু, লেবুর রস আর পেস্ট গুলো মিশিয়ে নিন।
-তারপর ভিটামিন সি ট্যাবলেট টি গুঁড়ো করে নিন এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুলটি ফুটো করে ভেতর থেকে তেল বের করে নিন।
-এবার সবগুলো উপকরণ ভালো ভাবে মিশিয়ে যে পাত্রে সংগ্রহ করতে চান সেটাতে রেখে দিন।
-পাত্রটিকে প্রথম ২৪ ঘণ্টা ডিপ ফ্রিজে এবং তারপর নরমাল ফ্রিজে রাখুন।
-এবার প্রতিদিন রাতে ফেস ওয়াশ দিয়ে মুখ ভালো ভাবে পরিষ্কার করে ব্যবহার করুন নিজের তৈরি করা নাইট ক্রীম।
নিয়ম মেনে টানা ২ সপ্তাহ ব্যবহারেই ফলাফল দেখতে পাবেন। আপনার ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল, মসৃণ, নমনীয়। থাকবে না রোদে পোড়া দাগ। নিজেই নিজের ত্বকের প্রেমে পড়ে যাবেন। বান্ধবীরাও এসে আপনার কাছে এ সৌন্দর্যের রহস্য জানতে চাইতে পারে।



 উৎসঃ www.bd-pratidin.com