19 January 2015

অভিযুক্তকে না পেয়ে চাচীর শরীরে বিচুটি পাতা!

অভিযুক্ত বিজেপি সমর্থককে না পেয়ে তার চাচীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে সারা গায়ে বিচুটি পাতা লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশর বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, থানায় নিয়ে যাওয়ার নাম করে ওই নারীকে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে সারারাত
ধরে গাছের সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক মারধর করার পাশাপাশি বে­ড দিয়ে হাতের তালুর মাংস তুলে নেওয়ার অভিযোগও করা হয়েছে।
গত ১৩ জানুয়ারি বীরভূম জেলার সাত্তোরে বোমাবাজির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে মিঠুন শেখ নামে এক বিজেপি সমর্থককে ধরতে গতকাল শনিবার সন্ধ্যাবেলা কাঁকসা গ্রামে যৌথ অভিযানে যায় বীরভূম জেলার পারুই, বোলপুর এবং ইলামবাজার থানার পুলিশ। কিন্তু মিঠুনকে না পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নামে তার ২৩ বছর বয়সী চাচী হাইফুন্নেসাকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপরই বাড়ির কিছু দূরে কাঁকসা জঙ্গলের মধ্যেই সারারাত ধরে গাছের সঙ্গে বেঁধে প্রচণ্ড মারধর করা হয়। পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন অংশে বিচুটি পাতা লাগিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশের অত্যাচারে একসময় অচৈতন্য হয়ে গেলে রাতেই ওই নারীকে নিয়ে যাওয়া হয় ইলামবাজার থানায়। বাড়িতে খবর দেওয়া হলে থানায় গিয়ে পরিবারের সমস্যরা আজ রবিবার সকালে থানা থেকে তাকে বাড়ি নিয়ে যায়। এরপর দুপুরের দিকে গুরুতর অবস্থায় বীরভূমের সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় হাইফুন্নেসাকে।
হাইফুন্নেসা জানিয়েছেন, পারুই থানা ও বোলপুর থানার পুলিশ এবং মোস্তফা, আকবরসহ বেশ কয়েকজন আমার বাড়িতে এসে মিঠুনের বিষয়ে জানতে চায়। কিন্তু মিঠুনের অবস্থান বলতে না পারায় থানার নাম করে ওরা আমাকে জঙ্গলে নিয়ে যায়। এরপর জঙ্গলে গাছের সঙ্গে বেঁধে পুলিশ লাঠি দিয়ে আমার পা ভেঙে দেয়। আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাই। এরপর পানি ছিটিয়ে আমার জ্ঞান ফিরিয়ে এনে পুলিশ আমার সারা গায়ে বিচুটি পাতা লাগিয়ে দেয়। আমার আঙ্গুলগুলো ভেঙে ব্লেড দিয়ে চিরে দেওয়ার পর বেশ কিছুক্ষণ ঘুরিয়ে আমাকে থানায় দিয়ে যায়। তার দাবি, বিজেপি কর্মী হওয়াতেই তাদের ওপর এই পুলিশি অত্যাচার। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি করে ওই অভিযোগকারী বলেন, পুলিশ হোক কিংবা রাজনৈতিক নেতাই হোক আমার সঙ্গে যারা এরকম অন্যায় করেছে তারা যেন শাস্তি পায়। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত পুলিশ কিছুই বলেনি।





উৎসঃ www.bd-pratidin.com